মজুরির পাওনা ১৮ হাজার টাকার জন্য রড দিয়ে আঘাত করে নগরীর নওমহলে নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান রমজান আলীকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। সেইসঙ্গে হত্যাকারী আমিনুল ইসলাম (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা লোহার রড জব্দ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ২টায় কোতোয়ালি থানার নওমহল এলাকার সারদা ঘোষ রোডস্থ নির্মাণাধীন ভবন টাওয়ার বিল্ডিং নং-৪৩ এর তৃতীয় তলায় একজন যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান রমজান আলী তার নিজ শয়নকক্ষে মৃতদেহটি পাওয়া যায়। সে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার কাশিনাথপুর পূর্ব বরগ্রামের রশিদুল ইসলাম পুত্র। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, তার মাথায় ভারি ভোতা বস্তু দ্বারা উপর্যুপরি আঘাতে তার মুখমণ্ডল ও মস্তকের ডান অংশ পুরোপুরি বিকৃত অবস্থায় রয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ফোরম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রমজান আলীর কাছে কতিপয় নির্মাণ শ্রমিকের ১৮ হাজার টাকা মজুরি পাওনা ছিল। সেই আলোকে ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এবং ভবনের প্রবেশপথে স্থাপিত একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নির্মাণাধীন ভবনে রডমিস্ত্রি আমিনুর ইসলামকে সন্দিগ্ধ হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার সকাল ৭টায় তাকে নরসিংদী জেলার সদর থানার শাহ প্রতাপ মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর জানায়, গত অক্টোবর মাসে সে রংপুর থেকে ময়মনসিংহে এসে উক্ত ভবনে রডমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করে। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে আসে। প্রথম দুই সপ্তাহ তাদেরকে নিয়মিত পারিশ্রমিক প্রদান করা হলেও বিগত প্রায় দেড়মাস ধরে তারা নিয়মিত পারিশ্রমিক পেতো না। একপর্যায়ে তার শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর পারিশ্রমিক না নিয়েই গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় এবং গ্রামের আত্মীয় স্বজনের কাছে আমিনুরের সম্মানহানি হয়। শুক্রবার অনুমান সোয়া ১২টায় মৃত রমজানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রমজান তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমিনুর উত্তেজিত হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা ভারি লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এরপর সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে প্রথমে ঢাকা এরপর নারায়ণগঞ্জ এবং অবশেষে নরসিংদী যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস